বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ কারও জন্য কল্যাণকর নয় : ন্যাপ রূপগঞ্জে সড়কে আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস হবে পুরোপুরি দালাল মুক্ত : নারায়ণগঞ্জ ডিসি সিদ্ধিরগঞ্জ পুলে যানজট নিরসনে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন যুবদল নেতা সোহাগ মিয়া প্রান্তিক কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদল আরাকানকে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ : ন্যাপ বিএনপি নেতা রুবেল মাতবরের মা এবং যুবদল নেতা নূরে আলম প্রধানের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর শোকবার্তা সোমবার ৫মে দেশে ফিরছেন বেগম খালেদা জিয়া তিন দফা দাবিতে ভোলাবাসীর মানববন্ধন ও সমাবেশ আওয়ামীলীগ নেতা আতাহার আলীর নাতি সাগরের বিরুদ্ধে  হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ 

সংবাদ প্রকাশের পর ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ায়  চুনা ভর্তি ট্রাক আটক করলেন সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস 

সম্রাট আকবরঃ 
 সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানার কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি ও গ্যাস চুরি করে রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় চুনা ব্যবসায়ীরা। উক্ত ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে গত কিছুদিন যাবৎ জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে  (১২ই জানুয়ারি) রবিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলে অভিযান চালিয়ে যমুনা লাইমসের একটি চুনা ভর্তি ট্রাক আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস। যমুনা লাইমসের মালিক নাসিক ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী খোরশেদ আলম।  কাস্টমস সূত্রে  জানা যায়, ঢাকা-মেট্রো ট ১৬-৫২৭৫ ট্রাকটি ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে ২০ টন চুনা নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের দিকে রওনা দিলে হীরাঝিল কাস্টমস সার্কেলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ট্রাকটি আটক করা হয়। ট্রাকটির ভিতরে ২০ টন চুনা রয়েছে। যার মূল্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। চুনা কারখানা কর্তৃপক্ষ সঠিক কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস কর্মকর্তা কাজী ফারুক জানায়, হীরাঝিল সার্কেলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া ট্রাকটি আটক করি। ট্রাকটি শেরপুর আজিজ এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলো। চালান অনুযায়ী ট্রাকে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চুনা রয়েছে। সরকারি ভ্যাট হিসাব অনুযায়ী ৫২ হাজার ৫০০ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেয় যমুনা লাইমস। ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে যমুনা লাইমসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একসময়ের লজিং মাস্টার ছিলেন হাজী খোরশেদ আলম। চুনা কারখানা দিয়ে আর পিছনে তাকাতে হয়নি খোরশেদ আলমকে। ভ্যাট ফাঁকি ও গ্যাস চুরি করে হয়ে উঠেন হাজার কোটি টাকার মালিক। হাজী খোরশেদ আলম নামে-বেনামে করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। তার অর্থ সম্পদের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে এলাকাবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত